২৪তম লাতিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের আসরে নারী শিল্পীদের জয়জয়কার। শাকিরা, ক্যারল জি, লরা পাউসিনি, মেরিলিয়া মেনডোনকা থেকে শুরু করে নবাগত শিল্পী জোয়াকুইনা কেউই এবারের আসর থেকে শূন্য হাতে ফেরেননি। কেউ কেউ জিতেছেন একাধিক পুরস্কারও।
বৃহস্পতিবার স্পেনের সেভিয়ার এফআইবিইএস সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে রাতটা তাই অন্যরূপে ধরা দিয়েছিল উপস্থিত দর্শকের কাছে। শুধু পুরস্কার বিতরণেই চমক ছিল না, একই সঙ্গে ছিল শিল্পী ও সংগীতায়োজকদের ভিন্নধর্মী পরিবেশনা। সব মিলিয়ে সেভিলের এফবিইএস সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘লাতিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩’ মনোমুগ্ধকর ছিল– সেকথা স্বীকার করেছেন অনেকেই।
এখানেও তিনজন নারী শিল্পী তিনটি করে মোট ৯টি পুরস্কার জিতে এগিয়ে গেলেন। দুজনই কলম্বিয়ান—শাকিরা ও ক্যারল জি। অন্যজন মেক্সিকান নাটালিয়া লাফোরকেড। বছরের সেরা নতুন শিল্পীর পুরস্কার পেলেন ভেনিজুয়েলার ১৯ বছর বয়সী গায়িকা হোয়াকিনা। বর্ষসেরা লাতিন সংগীত ব্যক্তিত্বর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ইতালিয়ান গায়িকা লরা পাউসিনি।
এবারই প্রথম স্পেনের বাইরে কোনো শিল্পী পেলেন এই পুরস্কার। আর্জেন্টাইন ডিজে বিজার্যাপের সঙ্গে শাকিরার যৌথ গান ‘শাকিরা—বিজার্যাপ মিউজিক সেশনস, ভলিউম. ফিফটি থ্রি’ জিতেছে বর্ষসেরা গান ও বর্ষসেরা পপ গানের পুরস্কার। ৪৬ বছর বয়সী এই গায়িকা তাঁর অন্য গান ‘টিকিউজি’র জন্য ক্যারল জির সঙ্গে যৌথভাবে পেয়েছেন বেস্ট আরবান/ফিউশন পারফরম্যান্স পুরস্কার।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আলাদা গুরুত্ব পেলেন শাকিরা। নিজের দুই সন্তান মিলান ও সাশাকে পুরস্কার তিনটি উৎসর্গ করেছেন তিনি। কলম্বিয়ান এই পপতারকা বলেন, ‘আমি ওদের কথা দিয়েছি হাসিখুশি থাকব।’ ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ ও স্পেনে আয়করসংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলার ইঙ্গিত দিয়ে গায়িকা বলেন, ‘পুরস্কারগুলো স্প্যানিশ শ্রোতাদের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে চাই, যাঁরা আমার সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে ছিলেন। স্পেনে আমি যেসব দুঃসহ ও কঠিন মুহূর্ত পার করেছি, তখন আমার প্রতি সবার ভালোবাসা ও সমর্থন অব্যাহত ছিল।’
৩২ বছর বয়সী ক্যারল জি তাঁর ‘মানিয়ানা চেরা বনিতো’-এর জন্য পেয়েছেন বর্ষসেরা অ্যালবাম ও আরবান মিউজিক বেস্ট অ্যালবামের স্বীকৃতি।
নাটালিয়া লাফোরকেড ‘ডি টোডাস লাস ফ্লোরেস’ অ্যালবামের জন্য পেলেন রেকর্ডিং অব দ্য ইয়ারসহ সেরা গীতিকার ও অ্যালবামের পুরস্কার। স্পেনের সেভিল শহরে বসেছে পুরস্কার বিতরণের এই আসর। এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বসল লাতিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের আসর।