চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসলেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ। ইলিয়াস কাঞ্চন জয়ী হলেও নিপুণ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। পুনরায় গণনা করা হলে সেখানেও নিপুণ পরাজিত হন। কিন্তু শনিবার জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড রায় দেয় নিপুণের পক্ষে।
আজ রবিবার রাজধানীর বিএফডিসিতে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানে শনিবার জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচিত নিপুণও উপস্থিত ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় মিশা সওদাগর নিজেই শপথ পাঠ করান নতুন সভাপতিকে।
পেছনের সকল বিষয় ভুলে যেতে বললেন মিশা। সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমি বরাবরই বলছি শিল্পী সমিতির নির্বাচন একটি মালাবদলের পালা। যাকে রায় দেবে তাকে মালা দিতে হবে। আজকে মালাবদলের অনুষ্ঠান হয়ে গেছে। আমি শুধু আপনাদের একটাই অনুরোধ করব, পেছনের দিকে আমরা যেন না তাকাই। পেছনে কী ঘটেছে না দেখি, আজকে থেকে আমরা আগামীর দিকে সুস্থভাবে সমৃদ্ধ একটা সংগঠন গড়ে তুলব, একটা শিল্প গড়ে তুলব, সেই ব্যবস্থা আমরা করি। ‘
এই শপথ অনুষ্ঠানে মিশা-জায়েদ খান প্যানেল থেকে নির্বাচিত কেউ ছিলেন না। কিন্তু মিশা নিজেই বললেন, ‘আজকে যদি সবাই থাকত আমি খুশি হতাম, পরবর্তীতে সবাই যেন থাকে আপনি স্টেপ নিয়ে সে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। আজকে আমাদের মুরব্বিরা আসছেন, শ্রদ্ধেয় আলমগীর ভাই, শ্রদ্ধেয় আমাদের সোহান ভাই, শ্রদ্ধেয় ঝন্টু সাহেব সবাই মিলেমিশে এভাবে শিল্পী সমিতিকে এগিয়ে নেবেন। ‘
শনিবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করে আপিল বোর্ড। ওই দিন সন্ধ্যায় এফডিসিতে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের এই ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদও বাতিল করা হয়।