নাজিফা তুষিকে সব সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। চলচ্চিত্রের লোক খুঁজে পান না, সংবাদকর্মীরা পান না, ফোনে পান না অনেকে। এমন অভিযোগ শোনা যায়। তুষিকে পাওয়া যায় না কেন? কারণটা এবার জানালেন ‘হাওয়া’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
আরেকটু পরিষ্কার করে বললেন তুষি, ‘একজনের পক্ষে সবাইকে স্যাটিসফাইড করা সম্ভব না, যদি কোনো কমিউনিকেশনের কারণে, গুরুত্ব নিয়ে কোনো ইন্টারভিউয়ের কারণে কিংবা স্ক্রিপ্ট পড়ানোর জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে- হয়তো এটা আমি করি না। কিন্তু হতেই পারে, একটা মানুষের পক্ষে সব সময় রেসপন্স করাটা হয় না। আর কমিউনিকেশনে আমার একটা দুর্বলতা আছে। এখন যেহেতু সামনে এসেছে, না চাইলেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। ’
যার ফলে এককথায় এভাবেই সেরে দিলেন- ‘আমি সব সময় চুপেচাপে থাকতে পছন্দ করি। ’
কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি। অভিনেত্রী গিয়েছিলেন সেখানে। ফিরেই মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদকর্মীদের। তুষি বলেন, ‘কলকাতা তো আমার নিজের শহরের মতোই। আমাদের পুরান ঢাকা মনে হয়। কলকাতার গন্ধ, কালচার, ইয়েলো লাইট, ফুড এত কানেক্ট করি দেখা যায় যে, প্রতিবারই যখন যাওয়া হয়েছে একেবারে ব্যক্তিগত কাজে। ’
এবার কলকাতা যাওয়াটা তুষির জন্য ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। অভিনেত্রী বলছেন, ‘এবার আমি আমার কাজ নিয়ে যেতে পেরেছি, এবং প্রথম ফিল্ম ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছি, ওখানকার কালচার যে এত রিচ, ওখানকার মানুষজন সংস্কৃতির মানুষজনকে এত সমাদর করেছে যে কী বলব, ওখানকার সংস্কৃতিমন্ত্রী থেকে সবাই আমাদের টিমকে এত সমাদর করেছে যে এটার জন্য আমি খুবই আনন্দিত এবং সম্মানিত। ’
দেশের বাইরের প্রশংসায় আপ্লুত তুষি বলছেন, ‘যখন ভিন্ন দেশ থেকে আমাদের কাজের প্রশংসা হয় তখন তো ভালোই লাগে, যখন নন্দনে প্রথম আমাদের হাওয়া সিনেমাটি দেখানো হয় তখন সে অভিজ্ঞতা চঞ্চল দা বর্ণনা করেছেন, আমি যেতে পারিনি। মনে হচ্ছিল আমার আত্মাটা ওখানেই আছে। ’
কলকাতার দৃষ্টিভঙ্গিকে অনন্য বলছেন এই অভিনেত্রী, ‘ওখানে যখন আমি গেলাম। ওখানকার দর্শক, ওখানকার মানুষ যখন আপনাকে রিসার্চ করে ডিটেইলে বলছে, এই কাজটা করেছেন, এই কাজটা আপনার- তখন আপনি স্বাভাবিকভাবেই মুগ্ধ হবেন এই ভেবে যে একটা বাইরের দেশে আপনার কিভাবে এত খুঁটিনাটি জানে, চেনে। ওদের দৃষ্টিভঙ্গি যে এত সুন্দর, এটাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। আমি হাওয়ার মধ্যে ভাসছি না, আমি হাওয়াটাকে স্পর্শ করছি। ’
দেশের শোবিজে একেবারে কম, কেন? এর উত্তরে বলেছেন, ‘আমি যখন কাজ শুরু করি, ইন্ডাস্ট্রিতে চলচ্চিত্রের অবস্থা তেমন ভালো না, আর নাটকটা আমি করতে চাইনি, সেটা আমার ব্যক্তিগত কারণে। আর যেহেতু নাটক করা হয়নি, স্বাভাবিকভাবেই আমার কাজের সংখ্যা কমে যায়। আর এখন যেহেতু ওটিটি এসেছে, এর সুবাদে কাজ করা হবে। আর চলচ্চিত্র একটি বড় ক্যানভাস। আমি বিলিভ করি কোয়ান্টিটি থেকে কোয়ালিটিতে। এতে করে বছরে আমার একটা কাজ করলেও সমস্যা নেই, আমি আত্মতৃপ্তি পাই বা জার্নি হয়। ’