জাহারা মিতু: আমার অভিষেক ভিন্ন ঘরানার সিনেমা (জয় বাংলা) দিয়ে। তবে নিজেকে বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছি। ঈদের মতো উৎসবে প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, ব্যাপারটি আমার জন্য সোনায় সোহাগা।
লিডার আমিই বাংলাদেশ-এর পর আমরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চসংখ্যক হল পেয়েছিলাম—এটাও ছিল ইতিবাচক। ছবিতে আমার চরিত্রটি উচ্ছৃঙ্খল এক তরুণীর। ভয় পাচ্ছিলাম, প্রথম দিকের সিনেমাতেই এমন একটি চরিত্র না জানি দর্শক কীভাবে নেন! এখন পর্যন্ত ইতিবাচক কথাবার্তাই শুনেছি।
আমি খুব ভাগ্যে বিশ্বাস করি——যখন যেটা আসার আসবে। যে সিনেমাগুলো এখনো মুক্তি পায়নি, সেগুলো নিয়েও ভাবি না। আমি শাকিব খান, দেব বা বাপ্পী চৌধুরীর নায়িকা——এটা নিয়ে ওই নায়কদের ভক্তদের আগ্রহ ছিল, আমি কেমন করি। কারণ, উপস্থাপক হিসেবে পছন্দ করলেও সিনেমার নায়িকা হিসেবে আমার কিন্তু নিজস্ব ভক্ত নেই। ফলে ছবি মুক্তি নিয়ে আমার চেয়ে দর্শকের বেশি আগ্রহ ছিল।
খুবই কঠিন ছিল। মাদকাসক্ত এক তরুণীর চরিত্র। আমি মদ, সিগারেট ভীষণ অপছন্দ করি। ফলে এই চরিত্রে অভিনয়ের আগে মনে হয়েছিল, দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজটাই করতে যাচ্ছি। চেষ্টা করেছি। তবে আবার যদি ওই চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়, আরও ভালো করব। এখন আমি অনেক পরিণত।
একেকটি ছবিতে একেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি। এ জন্য নিজেকে ধন্য মনে করি। এত দিন হয়তো সিনেমা নিয়ে খুব একটা সিরিয়াস ছিলাম না; কিন্তু এখন আমার নিজের দর্শক তৈরি হচ্ছে, তাঁদের একটা প্রত্যাশা আছে। আগে বুঝে না বুঝে যত কাজ করেছি, সেগুলোর কথা আলাদা।
এখন যে কাজগুলো করব, চেষ্টা করব, সর্বোচ্চটা দিতে। এরপরও কেউ সমালোচনা করলে কষ্ট থাকবে না। এই যেমন জার্সি নাম্বার ১৬ ছবির জন্য গরমে, রোজা রেখে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ক্রিকেট কোচিং করেছি। ছবিতে আমি ক্রিকেটার। , কতটা কঠোর পরিশ্রম করছি। চরিত্রের জন্য যতটা কঠিন পরিশ্রম প্রয়োজন হবে, শরীর যদি সায় দেয়; অবশ্যই করব।