আনন্দঘন পরিবেশে জন্মদিন পালন করল বৈশাখী টেলিভিশন। আজ ২৭ ডিসেম্বর ১৭ বছরে পা রাখলো দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল- বৈশাখী টেলিভিশন। গেলো ১৬টি বছর পেশাদারিত্ব আর সৃজনশীলতা দিয়ে দর্শকহৃদয় জয় করেছে বৈশাখী।
করোনা অতিমারীর কারণে এবারও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশজুড়ে জনসমাগম আর উৎসব আয়োজনের ঐতিহ্য থেকে বিরত থাকছে বৈশাখী পরিবার। তবে সকাল ১১টায় বৈশাখী টিভি কার্যালয়ে কেক কেটে আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করেন বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন।
এছাড়াও বৈশাখীর পর্দায় দিনব্যাপী চলে সরাসরি নানা অনুষ্ঠান। সরাসরি গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় সব শিল্পী। তাদের মধ্যে অলক সেন, চম্পা বনিক, কামরুজ্জামান রাব্বি,মনিষা মেরী, দিপা, অনন্যা আচার্য্য, কাজী মৌমিতা, রাফাত, সাদিয়া লিজা, গামছা পলাশ, অংকন ইয়াসমিন ও জুঁই। বৈশাখী টেলিভিশনকে দেয়া বানীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাণীতে তাঁরা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে এবং জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে সাফল্যের সাথে পার করেছে ১৬টি বছর। তারুণ্যে উদ্ভাসিত বৈশাখী টেলিভিশন আজ দর্শক, শুভানুধ্যায়ীর আরো কাংখিত ও আস্থার গণমাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
১৬ বছর ধরে পাশে থাকায় দর্শক, শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, বৈশাখী টেলিভিশনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। মৌলিক চেতনা আর গুণ-মানের প্রশ্নে বৈশাখী সামনের দিনগুলোতেও আপোষহীন থাকবে বলে জানান তিনি।
বাঙলা ও বাঙালির অস্তিত্ব মাখা বৈশাখের চিরন্তন ভাবনার সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার বহন করে চলেছে বৈশাখী টেলিভিশন। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ আর রুচিশীল মানসম্মত অনুষ্ঠান দিয়ে বৈশাখী আজ গণমানুষের টেলিভিশন।