অবশেষে প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা জিতলেন হলিউড অভিনেতা জনি ডেপ। আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার পারিবারিক সহিংসতার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর।
সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে অ্যাম্বার হার্ড তার বিরুদ্ধে মানহানি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জুরি আদালত। এ নিবন্ধে অ্যাম্বার দাবি করেন, তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডকে দিতে হবে ১০ মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। সাবেক স্বামী জনি ডেপকে এই অর্থ তুলে দিতে হবে স্ত্রী হার্ডকে। তবে পাইরেটস অফ ক্যারিবিয়ানের অভিনেতাকেও স্ত্রীকে সামান্য কিছু অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
জনি ডেপ দাবি করে আসছিলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। অ্যাম্বার হার্ডের সঙ্গে জনি ডেপের বিয়ে ছিল খানিক রূপকথার মতোই। কিন্তু দুই বছরের মধ্যে সেই বিয়ে ভেঙে যেতে বসে। এরইমধ্যে ওয়াশিংটন পোস্টে একটি জ্বালাময়ী পোস্ট এডিটোরিয়াল নিবন্ধ লেখেন অ্যাম্বার। সেখানে জনি ডেপের বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ করেন অ্যাম্বার। ওই লেখার বিরুদ্ধে অ্যাম্বারকে উকিলের চিঠি পাঠান ডেপ। একইসঙ্গে অ্যাম্বারের বিরুদ্ধে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন তিনি। পাল্টা ডেপের বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন অ্যাম্বার।
বুধবার আদালতের জুরিরা তার রায় শোনান। সেখানে বলা হয়েছে, ডেপের অভিযোগ অনেকটাই বিশ্বাসযোগ্য। সে কারণে তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। অ্যাম্বারকে দিতে হবে ১০ দশমিক তিন পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পোস্ট এডিটের একটি প্যারাগ্রাফ তুলে ধরে জুরিরা বলেন, সেখানে সত্যি সত্যিই ডেপের মানহানি হয়েছে।
এদিকে ৩৬ বছর বয়সি অ্যাম্বার ডেপের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগের একটিতে জয় পেয়েছেন। এ জন্য তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে অ্যাম্বারের বক্তব্য, এই রায় নারী-নিগ্রহ, পারিবারিক সহিংসতা এই সবকিছুকে মান্যতা দিল। তিনি অত্যন্ত হতাশ এবং দুঃখিত।
তারকা এ দম্পতির বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালে। তাদের কলহকপূর্ণ সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়। প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের আদালত ডেপ ও অ্যাম্বারের বিয়ে ও অসুখী সমাপ্তির বিস্তারিত শোনেন।