সড়কের পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় নিহত অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর গলায় অস্বাভাবিক দাগ পাওয়া গেছে। উদ্ধারের সময়ে তার গলায় এই দাগ দেখতে পায় পুলিশ। এর আগে গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন শিমু। তারপর থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শিমুর স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল রোববার দিনগত রাতে কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গতকাল সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে এটি নিয়ে শিমুর পরিবার ও চলচ্চিত্র জগতের লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক বলেন, মরদেহের গলায় অস্বাভাবিক দাগ পাওয়া গেছে। যেটি বস্তায় ভরে সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের খবরে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এর আগে শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।