English

30 C
Dhaka
শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
- Advertisement -

অভিনেত্রীকে হেনস্তা করায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত

- Advertisements -

ভারতের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী কাদম্বরী জেঠওয়ানিকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের (ডিজি) তিন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। এদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার।

বরখাস্ত করা অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক গোয়েন্দা প্রধান পি সীতারামা অঞ্জনেয়ুলু (ডিজি পদমর্যাদা), বিজয়ওয়াড়ার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার ক্রান্তি রানা টাটা (ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার) এবং প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ বিশাল গুন্নি (সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার)। এই ঘটনা নিয়ে জনসমক্ষে কম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি অন্ধ্র সরকারকে।

Advertisements

ভারতীয় প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্ট মাসে কাদম্বরী এনটিআর পুলিশ কমিশনার এস ভি রাজশেখর বাবুর কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কংগ্রেস পার্টির নেতা এবং চলচ্চিত্র প্রযোজক কে ভি আর বিদ্যাসাগরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে মডেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও তোলাবাজির মামলা দায়ের করেছিলেন ওই প্রযোজক।

কাদম্বরীর অভিযোগ, প্রযোজক বিদ্যাসাগরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ওই পুলিশ আধিকারিকরা কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই তাঁকে এবং তাঁর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার করে এবং মুম্বাই থেকে বিজয়ওয়াড়ায় নিয়ে যায়।পুলিশ তাকে এবং তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছিল এবং ৪০ দিন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রেখেছে।

Advertisements

জেঠওয়ানির আইনজীবী এন শ্রীনিবাস অভিযোগ করেন, বিদ্যাসাগর জেঠওয়ানি ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য জমির জাল নথি তৈরি করেছিলেন এবং পুলিশ বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের জামিনের আবেদন করতে দেয়নি।

অঞ্জনেয়ুলুকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে একটি সরকারি আদেশে বলা হয়েছে যে ‘গুরুতর অসদাচরণ এবং কর্তব্যে অবহেলার’ প্রাথমিক প্রমাণ মেলার কারণে এই সিদ্ধান্ত।

তদন্তে জানা গেছে, এফআইআর দায়ের হওয়ার আগেই অঞ্জনেয়ুলু অন্য দুই অফিসারকে ওই মডেলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২ ফেব্রুয়ারি এফআইআর দায়ের করা হয়, ৩১ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ জারি করা হয় বলে অভিযোগ। এই তিন অফিসারই ১৬ জন আইপিএস কর্মীর মধ্যে রয়েছেন, যাঁদের আগে একটি মেমো জারি করা হয়েছিল, যাতে তাদের অফিশিয়াল পোস্টিং ছাড়াই দিনে দুইবার পুলিশের মহাপরিচালকের অফিসে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন