অভিনেতা-লেখক-গীতিকার নেজামতউল্লাহ’র আজ ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ আগস্ট, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৬ বছর। প্রয়াত এই গুণি মানুষটির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
নেজামতউল্লাহ ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে, যশোর জেলার দিগনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এন্ট্রাস পাস করেছিলেন। চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশকে নাট্যমঞ্চের উজ্জলতম অভিনেতা-নাট্যকার ছিলেন তিনি। ‘শহীদ সিরাজ’ তাঁর রচিত সেই সময়ে বহুল মঞ্চস্থ, আলোচিত ও প্রসংশিত নাটক। তখনকার সময়ে মঞ্চনাটকের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি খ্যাতিমান ছিলেন।
১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জড়িত হন ঢাকা বেতারের সাথে।সেই সময়ে বেতারের পল্লীগ্রাম ভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘বুনিয়াদী গণতন্ত্রের আসর’-এ তিনি ছিলেন ‘মাতবর ভাই’ নামে অতি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা।
নেজামতউল্লাহ অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। নতুন সুর, ধারাপাত, গোঁধূলীর প্রেম, নদী ও নারী’সহ তখন তিনি বেশকিছু ছবিতে অভিনয় করেন।
লেখক হিসেবেও তাঁর বেশ পরিচিতি ছিল। ঐতিহাসিক ছবি ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’তে গানও লিখেছেন । বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গল্প ও কবিতা লিখতেন। তখনকার সময়ে পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেছিলেন নেজামতউল্লাহ।
একজন অভিনেতা-লেখক ও গীতিকার নেজামতউল্লাহ। জ্ঞানী-গুণি শিল্প-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির গোড়াপত্তনের সময়ের এসব মানুষগুলো আজ প্রায় বিস্মৃত। আমরা যত বেশী এসব গুণি ব্যক্তিত্বদের মনে রাখবো, চর্চা করবো তাদের কর্ম ও জীবন নিয়ে, তত বেশী সমৃদ্ধ হবে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন