অভিনেতা-নাট্যকার-নির্দেশক ও লেখক লিটন আখতার-এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। প্রয়াত এই গুণি অভিনেতার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
লিটন আখতার (মজিবুর রহমান) ১৯৪৪ সালের ১৫ জানুয়ারী, মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার দিঘালী গ্রামে, জন্মগ্রহন করেন। শৈশব থেকেই নাটক ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তাঁর। এক সময় মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন, পরবর্তিতে নাটক রচনা ও পরিচালনা করেন।
তিনি অনেক নাটক রচনা ও পরিচালনা করেছেন। লিটন আখতার রচিত ও নির্দেশিত নাটক গুলোরমধ্যে– অন্ধগলির আর্তনাদ, দূস্য নিজাম, মহুয়া, অন্তরাল, আনারকলি, বেদের মেয়ে জোসনা, নবাব মীরকাশিম, শোক থেকে শক্তি অন্যতম।
মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্রে আসেন লিটন আখতার । তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি, সফদার আলী ভূঁইয়া পরিচালিত ‘চম্পাকলি’ মুক্তিপায় ১৯৬৮ সালে। তিনি আরো যেসব ছবিতে অভিনয় করেন সেগুলোরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- দুস্যরাণী, রাজরাণী, অতিথি, নোলক, রেশমী চুড়ি, সিআইডি, বাহাদুর মেয়ে, সূর্যদীঘল বাড়ি, ছোট বউ, তিনকন্যা, চেতনা, চোরের বউ, নেশা, লাভ স্টোরী, দাংগা, ত্রাস, সিপাহী, রাজধানী, দোলা, লাভ লেটার, দেশদ্রোহী, সুজন বন্ধু, বিদ্রোহী আসামী, গনধোলাই, মেইল ট্রেন, শশীমিলন, আখেরী জবাব, আলী কেন গোলাম, ধর, আমার দেশ আমার প্রেম, পান্জা, গডফাদার, অশান্ত আগুন, গরীবের অহংকার, সুন্দরী বধু, ইত্যাদি ।
লেখক লিটন আখতার-এর প্রকাশিত গ্রন্থেরমধ্যে আছে- মহুয়া, অন্তরালে, অন্ধগলির আর্তনাদ, প্রেম আছে প্রিয়া নেই, প্রভৃতি।
অভিনেতা-নাট্যকার-নির্দেশক ও লেখক লিটন আখতার। তিনি একজন দক্ষ অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন । অভিনয়কে ভালোবাসতেন, ভালোবাসতেন নাটক ও চলচ্চিত্রকে। অভিনয়ই ছিল তাঁর সবচেয়ে লাগার-ভালোবাসার জায়গা। বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির একজন সুহৃদ ছিলেন তিনি। অভিনেতা লিটন আখতার, তাঁর কর্মের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।