নাসিম রুমি: তিনি রুপালি পর্দার চিররহস্যময়ী। অভিনয়শৈলী ও প্রতিভায় মহানায়িকা। তিনি সুচিত্রা সেন। আজ এই অভিনেত্রীর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের পাবনায় জন্মেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন কলকাতায়। সেখানেই কেটেছে বাকি জীবন। হয়ে উঠেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের পরশ পাথর। দর্শকরা আজও সুচিত্রা সেনের সিনেমা দেখে অভিভূত হন।
জন্মদিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর জানা-অজানা—
মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৫২ সালে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন সুচিত্রা সেন। তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ছিল ‘শেষ কোথায়’। যদিও শেষ পর্যন্ত ছবিটি মুক্তি পায়নি।
এই হিসেবে তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’। এটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৩ সালে।
পর্দায় মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের জুটি চিরস্মরণীয়। তাঁরা প্রায় ৩০টি ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন। ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায় প্রথমবার একফ্রেমে দেখা যায় এই জুটিকে।
১৯৬৩ সালে রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবির জন্য স্বীকৃতি পান সুচিত্রা সেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরস্কারজয়ী প্রথম বাঙালি অভিনেত্রী তিনি।
বলিউডে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু চলচ্চিত্র। তবে পার্বতী চরিত্রে প্রথম অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। বলিউডে এই অভিনেত্রীর প্রথম ছবি ছিল ‘দেবদাস’।
ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। পুরস্কারটি পাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী নয়াদিল্লি যেতে হতো তাঁকে। কিন্তু তিনি জনসমক্ষে যেতে চাননি।
১৯৭৮ সালে স্বেচ্ছায় অন্তরালে যাওয়ার পর মাত্র ২ বার জনসমক্ষে দেখা গিয়েছিল সুচিত্রা সেনকে। ১৯৮০ সালে উত্তম কুমারের মৃত্যুর পর তিনি জনসমক্ষে এসেছিলেন। মহানায়কের মরদেহের পাশে মাঝরাত পর্যন্ত বসেছিলেন। দ্বিতীয়বার তিনি জনসমক্ষে এসেছিলেন ১৯৮৯ সালে তাঁর আধ্যাত্মিক গুরু ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর।
অন্যদিকে, সুচিত্রা সেনকে নিয়ে নির্মাতা সত্যজিৎ রায় বানাতে চেয়েছিলেন ‘চৌধুরানী’ নামের একটি ছবি। কিন্তু শুটিং ডেট না থাকার কারণে এ ছবিতে কাজ করতে চাননি অভিনেত্রী। অবশেষে সত্যজিৎ রায় ছবিটিই আর বানাননি।