শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। চলছি শিক্ষাবর্ষে আমাদের চেষ্টা থাকবে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার।
সোমবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে এ লটারির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া অন্য ছুটিগুলোও কিছুটা কমিয়ে এনে পাঠদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যেন বড় কোনো ঝামেলায় না পড়ে, এ বিষয়টিকে সামনে রেখে যেসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার তার সবই নেওয়া হবে।
সারাদেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও সব বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি নেই। এসব বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এছাড়া সব বিদ্যালয় এখনো অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় আসতে পারেনি। এ কারণ এবছর ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে।
৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে মোট শূন্য আসন আছে ৭৭ হাজার ১৪০টি। আর এসব আসনে ভর্তির জন্য এবার অনলাইনে আবেদন জমা পড়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯টি।
লটারির ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে টেলিটক ও সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্ব স্ব স্কুলের প্রতিষ্ঠানের মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত লিঙ্কে গিয়ে প্রতিষ্ঠান সেটি প্রিন্ট করে স্কুলের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেবে।