শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘অভিভাবকরা মনে করেন, জিপিএ ৫ না পেলে সন্তানদের জীবন বৃথা। যে কোনোভাবে জিপিএ ৫ পেতে হবে। সেজন্য সন্তানকে ঘরবন্দি করে লেখাপড়া করান, এটা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘জিপিএ ৫ পাওয়া মানেই মেধাবী নয়। অনেক শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্লাসে খুব ভালো না করলেও অন্য ক্ষেত্রে খুবই সৃজনশীল। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের জিপিএ ৫ পাওয়ানো নিয়ে পেছনে লেগে না থেকে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ফল করলো কি না, সেদিকে নজর রাখা।’
বুধবার (১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউ’র সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে, তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্তবিদ্যা থেকে সরে আসতে হবে। আমরা মুখস্ত করি, আত্মস্থ করি না। মুখস্ত করে পরীক্ষার খাতায় লিখি। হয়তো ভালো নম্বর পেয়ে যাচ্ছি। অথচ বাস্তব জীবনে এ শিক্ষার কোনো প্রয়োগ নেই।’
দীপু মনি বলেন, ‘আগামী দিনে আর প্রতিযোগিতা নয়। একজন অন্যজনের সহযোগী হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সহযোগিতার মনোভাব তৈরি করতে হবে। সবকিছু বদলে যাচ্ছে, জগৎ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এ পাল্টানোর সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে খাপ খাওয়াতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিখতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে।’
নতুন শিক্ষাক্রম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম হবে খুবই আনন্দময়। সেখানে পরীক্ষার চাপ কোনো থাকবে না। শিক্ষার্থীরা হেসে-খেলে শিখবে। ক্লাসে পাঠদানের পাশাপাশি বাস্তবতার সঙ্গে মিলিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি সস্পর্কেও শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে।’
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউসিবি ফিনটেক কোম্পানি লিমিটেডের (উপায়) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রেজাউল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাসিব।
সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘সবাই খুব ভালো ফল করেছেন। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু ভালো ফল করলেই হবে না, ভালো মানুষও হতে হবে।’