আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানোর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে তা কিছুটা পিছিয়ে আয়োজন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা চলছে। কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছিল। এখন তা বাড়িয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত করা হলো।’
চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এমন চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আগে করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি আগে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস করানো হলেও সশরীরে ক্লাস করানো সম্ভব না হওয়ায় কেউ কেউ পিছিয়ে আছে। তাদের কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা হবে। এরপর একটি মূল্যায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এরপর যারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।’
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা পেছানো হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানোর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে হয়তো নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা না নিয়ে তা কিছুটা পিছিয়ে আয়োজন করা হবে। তার আগে আমরা সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ফের বাড়ানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নেওয়া হবে না বার্ষিক পরীক্ষাও।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন