ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রকৃতির বসন্ত আমাদের তারুণ্য উদযাপন করায় তারুণ্যকে অভিনন্দন। প্রকৃতির বসন্তের মতোই নিজের জীবনে বসন্ত আনতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে বাঙালি এক অনন্য জাতি। পৃথিবীতে খুব কম জাতি আছে যারা ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিস্বত্ত্বা রক্ত দিয়ে রক্ষা করেছে। রক্ত দিয়ে বাঙালি নিজের রাষ্ট্র তৈরি করেছে, তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিকশিত করছে, অসম্প্রদায়িক চেতনা তুলে ধরছে। তিনি নিজেদের জীবনে বসন্ত তৈরি করে বাঙালির শৌয্য বীর্য এগিয়ে নেওয়ার জন্য দেশের তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর আতিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান এম এ কাশেম, সদস্য রেহুমা রহমান, বেনজির আহমেদ, আজিম উদ্দিন, প্রো ভিসি প্রফেসর ইসমাইল হোসেন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বসন্ত উৎসব বাঙালির জাতি সত্ত্বার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বলেন, তরুণদেরকে নিজেদের জীবনে বসন্ত তৈরি করতে হবে। বসন্ত উৎসব এই অঞ্চলে নানা দেশে নানা নামে পালিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইরান থেকে চীন বসন্ত নতুন জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারুণ্যে বসন্তের ছোয়া লাগিয়ে প্রচলিত শিক্ষার জ্ঞান অর্জনের সাথে তরুণদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা নিয়ে সামনে চলতে হবে। এর মানে তাদের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হবার দরকার হবে না।ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা ছাড়া সামনের দিনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।বাঙালি নিজের অস্তিত্ব প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রকাশ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোভিডকালে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি পৃথিবীর যে কোন উন্নত দেশ থেকে আমরা পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ ভ্যাকসিন দিচ্ছে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। দেশের শতকরা ৭২ ভাগ করোনা রোগী ঘরে বসে ডিজিটাল চিকিৎসা নিয়েছে। ২০০৮ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীর কাছে একটি উন্নয়নের রোল মডেল বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।