শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে তাদের সব দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। তাদের সব দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন করবো। তারা অনশন ভেঙেছেন, এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন, আমরাও তাদের আস্থার প্রতিদান দেবো।’
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) শাবিপ্রবি ইস্যু নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর হেয়ার রোডে নিজ বাসভবনে শিক্ষামন্ত্রী এ প্রেস ব্রিফিং করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার সবাই একপক্ষ। এখানে দুইপক্ষ বলে কিছু নেই। এ ধরনের আন্দোলনে অনেক সময় সহিংসতা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। তবে এখানে তা ঘটেনি, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে।’
শিক্ষার্থীরা চাইলে আলোচনায় বসতে সিলেট যাবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। তারা একটু গুছিয়ে উঠুক। তারা চাইলে কিছুদিন পর আমি সেখানে (শাবিপ্রবিতে) যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা চাইলে আমরা যে কোনো সময় তাদের সঙ্গে বসবো।’
দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবির পুরো বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকটা দিন আমরা তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকেছি। অনশন যারা করেছিলেন এবং আন্দোলনে ছিলেন, তারা সবাই মিলে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, শিক্ষার্থীরা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এখানেই আন্দোলনের ইতি টানবেন। আমরা তাদের দাবি-দাওয়া খতিয়ে দেখে সমাধানের ব্যবস্থা করবো।’
শাবিপ্রবি সংকটে মধ্য দিয়ে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যা সমাধানের সুযোগ পেয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণ ও সমস্যা সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। অপরাধী যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু সমস্যা উঠে এসেছে। সেগুলো খুঁজে বের করে সমাধানের সুযোগ পেলাম আমরা। এটা শুধু শাবিপ্রবিতে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের সংকটের সমাধান করা হবে।’
আন্দোলনে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ শিক্ষার্থীকে জেলে পাঠানো হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের জামিন হয়েছে। তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়টা আমরা দেখবো।’
উপাচার্যকে সরানো হবে কি না, প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি উপাচার্য নিয়োগ করেন। ফলে উপাচার্যকে সরাতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। তাকে রাখা হবে নাকি সরানো হবে, তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একজন উপাচার্যকে সরানো হলে সেখানে আরেকজন আসবেন। তবে আমাদের সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানে নজর দিতে হবে।’