শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) গাজীপুরে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এ আশা ব্যক্ত করেন। তবে স্কুলে খুলে দিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘গতকালই (শুক্রবার) সবাইকে নিয়ে একটি যৌথ সভা করেছি, সেখানে আমরা কী করে আগামী এক মাসের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যারা ১৮ বছরের বেশি, যাদেরকে টিকা দেওয়া যাবে, তাদেরকে টিকা দেওয়া, টিকা দেওয়ার পরে যেহেতু আরও সপ্তাহ দুয়েক লাগে ইমিউনিটি পেতে, একটা পর্যায়ে আসতে। অর্থাৎ আমরা অক্টোবরের মাঝামাঝির পরে আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুলে দিতে পারব।’
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
এর আগে ১৫ অক্টোবরের পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শর্ত সাপেক্ষে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। এজন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়।