কোনো ছাত্রী বিবাহিত বা অন্তঃসত্ত্বা থাকলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে থাকতে পারবে না- এমন বিধান বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাবির ভিসি, রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর এবং কুয়েত-মৈত্রী, সামসুন্নাহার ও সুফিয়া কামাল হলের প্রোভোস্টকে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে এ বিষয়ে আইনি প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করা হবে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাবি প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ওই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানবিরোধী। এ নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং শামসুন নাহার হলে বিবাহিত বলে দুই ছাত্রীর সিট বাতিল করায় বিষয়টি সামনে এসেছে। সাধারণভাবে বিবাহিত ছাত্রীরা হলে থাকলেও তা চিহ্নিত হয় না। কিন্তু ওই দুই ছাত্রী সনাতন ধর্মের বলে করোনার পর তারা শাখা-সিঁদুর পরে হলে আসায় তাদের চিহ্নিত করা হয় বলে জানান শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি। তবে ছাত্রীদের প্রতিবাদের মুখে ওই সিদ্ধান্ত হল কর্তৃপক্ষ আপাতত স্থগিত রেখেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রদের জন্য ১৩টি হল আছে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যায় প্রায় সমান সমান। ছাত্রদের হলে বিবাহিতদের থাকতে কোনো সমস্যা নেই। এটা শুধু ছাত্রী হলেই।