৫০ বছর বয়সে এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। পরীক্ষায় বসা থেকে আলোচনায় ছিলেন সিরাজুল। তার ফল শোনার জন্য আগ্রহের কমতি ছিল না ইউনিয়নবাসীর।
একমাত্র ছেলে হাফেজ নেসার উদ্দিন আহম্মেদ চট্টগ্রাম বাইতুশ শরফ কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনিও মাদরাসা বোর্ড থেকে জিপিএ৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ের ছেলে (নাতি) নাজমুল হাসান খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৪ দশমিক ৬৭ পেয়ে পাস করেছেন।
তবে বড় চমক সিরাজুল ইসলাম (৫০) নিজেই। তিনি খাগড়াছড়ি ইসলাসিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে আলিম (প্রাইভেট) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সিরাজুলের প্রাপ্ত জিপিএ ২ দশমিক ১৪। এতেই খুশি তিনি এবং তার পরিবার।
এই বয়সে কেন পরীক্ষা দিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দিলেন সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষার বয়স। আমার আগ্রহ ছিল বলেই পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছি। যাতে আমাকে দেখে অন্যরাও উৎসাহ পাবে এই ভাবনা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। ‘
পেশায় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার বিকল্প নেই। যত বয়স হোক জ্ঞান অর্জন করে নিজে ও দেশকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব। ‘
সিরাজুল ইসলাম ১৯৯২ থেকে ৯৭ পর্যন্ত মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।