‘নৌবিহার, মনের বিষন্নতা কাটিয়ে অন্তত প্রাণ খুলে কিছু কথা বলা’ এই থিমকে সামনে এনে এসএসসি ১৯৮২ বাংলাদেশ এর উই আর ইনভাইটি গ্রুপের আনন্দ নৌবিহার গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) ঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হল।এই প্রথম এসএসসি ১৯৮২ বাংলাদেশ বন্ধুরা তাদের পরিবার নিয়ে আনন্দ নৌবিহারে অংশ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটিকে এমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেন অংশগ্রহণকারী সকলেই নির্মল আনন্দ উপভোগ করে।মূলতঃইট পাথরের খোলস থেকে,দুষিত বায়ু ও ধূলাবালির রাজ্য থেকে বের হয়ে নদীর নির্মল বায়ু আর বিস্তৃত জলরাশির সৌন্দর্য্য উপভোগো করতে এই আনন্দ নৌবিহারের আয়োজন।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব এস এম আজাদ হোসেন এর সূচনা বক্তব্য,পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত,জাতীয় সঙ্গীত এবং এপর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী এসএসসি ১৯৮২ ব্যাচের বন্ধুদের প্রতি শোক প্রকাশ ও তাদের আত্মার শান্তি কামনায় ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবে যার যার ধর্মমতে প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ইসহাক আলী।
নৌবিহার আয়োজনের উদ্যোক্তা ও আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী এড, রেজাউল হক হিরু অংশগ্রহণকারী সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞাতা জ্ঞাপন করেন এবং এই আয়োজনকে সফল করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে এড,নসরুল্লাহ,নাজনীন আরা, আব্দুস সালাম মিজি,সাহিনা পারভীন,সুফিয়া খাতুন,ডাঃমাহফুজ মুকুল,সেলিনা পারিভন মালা, লায়ন আহসান হাবিব, শহিদুল ইসলাম পলাশ,সাখাও্য়াত রিপন, মশিউর কাজল,এ কে আজাদ,নাজমুল হুদা সহ সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।বিশেষ করে মনের টানে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে পরিবারসহ নৌবিহারে অংশ নেয়া বন্ধু সিরাজুল ইসলামকে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে নৌবিহারে অংশ নেয়া বন্ধুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞাতা জ্ঞাপন করেন।ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজন করার মনোভাব পোষণ করেন তিনি।
নৌবিহারের প্রধান আকর্ষণ ছিল গতানুগতিকের বাইরে র্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন বন্ধু আফরোজা।তাকে সহায়তা করেছে নাজনীন,মিজি,আজাদ প্রমুখ।২ রাউন্ড হাউজি খেলা ছিল নৌবিহারের বাড়তি চমক।সকালের নাস্তা,বুফে লাঞ্চ,বিকেলে শীতের পিঠা উৎসব ও আনলিমিটেড চা কফি দিয়ে অংশগ্রহণকারী বন্ধু ও অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।সকাল ৯টায় শুরু হওয়া নৌবিহার রাত ৮ টায় শেষ হয়।সকলে আনন্দের ঝুলি নিয়ে যার যার গন্তব্যে পৌঁছান।