২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২১৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৬৪টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৪০ হাজার ৯২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
গত বছর ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৪ হাজার ৬৬৩ জন।
জানা গেছে, এবার মানবিক বিভাগ থেকে ৪৭ হাজার ৯০৩ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৫ হাজার ৫৫৮ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৫৭ হাজার ৪৬৬ জন পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এরমধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০ জন, অনিয়মিত ২২ হাজার ৭৩৪ জন এবং মানোন্নয়ন ১১৩ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও মোট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ৬১ হাজার ৭৬৫ জন, ছাত্রী ৭৯ হাজার ১৬২ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পাঁচ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৯৯ হাজার ২৪৬ জন, কক্সবাজার জেলায় ২১ হাজার ১৯৩ জন, রাঙামাটি জেলায় ৭ হাজার ৯৭৪ জন, খাগড়াছড়ি জেলায় ৮ হাজার ১৭৯ জন এবং বান্দরবান জেলায় রয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার নিরাপত্তা, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ ও সব ধরনের অনিয়ম রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। সকল সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ভিজিলেন্স টিম কাজ করবে।
শিক্ষাবোর্ডের একগুচ্ছ নির্দেশনা
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে।
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
৯. কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।