করোনা মহামারির কারণে এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (২৬ জুলাই) বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাজনিত অতিমারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা শুধু গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষার সময় ও পরীক্ষার নম্বর হ্রাস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশক্রমে জেএসসি/সমমান ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ে নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের নম্বর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে কোনো রকমের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে চতুর্থ বিষয় পরিবর্তন বা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমিরুল ইসলাম।
পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প মূল্যায়ন করা হবে।
এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে গত ১৫ জুলাই এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখেছি গতবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে, গতবারের অভিজ্ঞতায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে নিয়ে যাওয়ার সম্ভব হবে।
‘পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক বিষয়ে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে জেএসসি-জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে। ’