কোটা আন্দোলনে অন্যসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় মেডিকেল কলেজগুলো। তবে কোটার দাবি বাস্তবায়ন হলেও এখনো বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার সম্ভাবনা এখনো আসেনি। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে থাকা মেডিকেল কলেজগুলোও এখনো খুলছে না বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলে মেডিকেলগুলোও খুলে দেওয়া হতে পারে। মেডিকেল কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে মেডিকেল কলেজ খুলে দিতে চায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটো মিঞা বলেন, আমাদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হোস্টেলে থাকে। হোস্টেল খুলে না দিলে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবে না, শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না। যখন সার্বিক পরিবেশ শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থাকার মতো হবে, তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। মেডিকেল কলেজগুলো খোলা নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের কার্যক্রম হয়, শিক্ষার্থীরাও ওই পর্যায়ের। সুতরাং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম কখন শুরু হবে সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। অবশ্যই মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং জাতীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করবো।
এর আগে কোটা আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো।
আগের দিন ১৬ জুলাই আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই দিন রাতে অধিভুক্ত সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।