নতুন পাঠ্যক্রমের ওপর জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা ঘটে গেছে। বইয়ে যা নেই তাও উপস্থাপন করা হচ্ছে। ফটোশপ এবং টেক্সট এডিট করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, কিছু ভুল-ভ্রান্তি আছে যা সংশোধন করা হচ্ছে এবং হবে। তবে নতুন শিক্ষা পদ্ধতি নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘চতুর্থ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নতুন বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। কিন্তু এ বইয়ে যা নেই, তার প্রচারণা যারা চালাচ্ছে তারা চিহ্নিত। তারা নতুন এ শিক্ষাক্রমকে বাস্তবায়ন করতে দিতে চায় না। কারণ এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা ভাবতে শিখবে এবং চিন্তা করতে শিখবে। শিক্ষার্থীদের এ বিকাশ সাধিত হলে, তাদের ‘মগজধোলাই’ পদ্ধতি আর চলবে না। এজন্যই তারা এর বিপক্ষে।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষাকে উপযুক্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করতে হলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নাই। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের ফসলকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রয়োজন হয় উদ্যোক্তা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধীরে ধীরে যুক্ত হচ্ছে। এটা সত্যিই খুশির খবর।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল উপাদানগুলো হবে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। এছাড়া ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবো। আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মূল হাতিয়ার হচ্ছে শিক্ষা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বর্তমান শিক্ষাক্রম সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই তৈরি হয়েছে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যাত্রাপথকে অসততা দিয়ে কলুষিত করবেন না। এটি খেয়াল রাখতে হবে। সত্যের পথ একটু কঠিনই হয়। তাই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম সে কখনো করে না বঞ্চনা।