নতুন পাঠ্যক্রমে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এ নিয়ে অপপ্রচার চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করেনি, করবেও না।
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃতী শিক্ষার্থীদের তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে কোনো ভুল থাকলে সেটির সত্যতা যাচাই-বাছাই করে কথা বলা উচিত। সবার বাড়িতে স্কুলের শিক্ষার্থী আছে। কেউ না থাকলেও অন্তত মোবাইলে এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তকগুলো দেখে তারপর কথা বললে ভালো হয়। কারণ আমরা যেন কেই অসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার অংশীদার না হই।
তিনি বলেন, বইয়ে যা নেই তা দিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, আপনারা গুজবে কান দেবেন না। চিলে কান নিয়েছে বলে চিলের পেছনে না দৌঁড়ে নিজের কানে হাত দিয়ে দেখুন কান নিজের কাছে আছে কিনা।
দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গবেষণার জায়গা। ফলে গবেষণা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হন মেধাবী। তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে তারা আরো গুণগত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী ১০৩ কৃতী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের হাতে সাড়ে ১২টায় পুরস্কার তুলে দেন দীপু মনি। তিন ক্যাটাগরিতে এই পদক প্রদান করা হয়। রাবির চারুকলা, প্রকৌশল, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান, কৃষি এবং কলা অনুষদের ৯৬ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যংক’ প্রদান করা হয়। এ ছাড়া দর্শন বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক’ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ২ জন শিক্ষার্থীকে ‘ডা. এ.কে খান স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আক্তার ও নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমনা সরকারের সঞ্চালনা করেন।