মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ৩ কোটি ৮৪ লাখের মতো ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এর আগের বছর ২০১৯ সালে উদ্ধার করা হয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ইয়াবা। প্রশ্ন হলো স্থলসীমান্তের পাহারায় বিজিবি আছে, জলপথের পাহারায় কোস্টগার্ড আছে, আকাশপথের পাহারায়ও নির্দিষ্ট বাহিনী আছে।
সে ক্ষেত্রে সীমান্ত ও বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের যোগসাজশ ছাড়া মাদক ঢুকতে পারার কথা নয়। একসময় ফেনসিডিলের স্থান দখল করেছিল অধিক ক্ষতিকর মাদক ইয়াবা। হালে সেই ইয়াবার স্থান দখল করেছে আইস, এলএসডি ইত্যাদি; যা ইয়াবার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি ক্ষতিকর।
একদিকে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা দেখানোর কথা বলে, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলেই এমন লোক আছেন, যাঁরা ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত। তাঁদের আইনের আওতায় না এনে লোকদেখানো অভিযান ও চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করলে কোনো ফায়দা হবে না। মাদক চোরাচালান ও সেবনকরীদের বিরুদ্ধে সরকারের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ যে কী ভয়ংকর পরিণাম নিয়ে আসতে পারে, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহার মৃত্যুই তার প্রমাণ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে বা তাদের রেখে আর যা-ই হোক মাদকবিরোধী অভিযান সফল হতে পারে না। সীমান্তপথে মাদক আসা বন্ধ করুন, আপনাতেই দেশে মাদক সেবন ও ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে মাদক চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা যাচ্ছে না কেন? সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিতদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।