প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, যাঁরা কৃষিজমির মাটি কাটা ও বিক্রির ব্যবসা করেন তাঁরা স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট প্রভাবশালী। মাটি বিক্রেতাদের ভাষ্য, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তাঁরা এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কৃষিজমি রক্ষায় উদ্যোগ নেবে কে?ইট তৈরিতে কৃষিজমির মাটি ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ইট তৈরিতে মাটি ব্যবহারের ধরন নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু প্রায় কোথাও তা মানা হয় না। আর এ বিষয়টি কোথাও দেখভালও করা হয় না। ফলে সারা দেশেই ইট নির্মাণে কৃষিজমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশে প্রতিবছর ২২.৭১ বিলিয়ন বা দুই হাজার ২৭১ কোটি ইট তৈরি হয়।এসব ইট তৈরির জন্য যে বিপুল মাটির প্রয়োজন হয় তা আসে মূলত ফসলি জমির ওপরের স্তর বা টপ সয়েল থেকে। প্রয়োজনীয় অণুজীবসমৃদ্ধ এই উর্বর অংশ বা টপ সয়েল কেটে নিলে সেই জমিতে ফসল হয় না বললেই চলে। তা ছাড়া কয়েক ফুট গভীর করে মাটি কেটে নেওয়ায় বর্ষায় সেখানে পানি জমে যায়। সে কারণেও জমি চাষাবাদের উপযোগী থাকে না।
আমরা মনে করি, কৃষিজমি রক্ষায় আরো কঠোর আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ইট নির্মাণে কৃষিজমির মাটির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।