বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের খাদ্য। দেশের কৃষি উৎপাদনে কৃষকের যেমন অবদান রয়েছে, তেমনি সরকারও কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কৃষিতে ব্যবহৃত সার, বীজ, সেচের পানি সুলভ ও সহজলভ্য করা হয়েছে।
আমন ধান তোলার পর শীতের এই সময়ে গম, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন শাক-সবজি আবাদ করা হয়। এসব আবাদে অন্তত তিনবার সার দিতে হয়। হঠাৎ সারসংকটে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ঠাকুরগাঁও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের সহকারী পরিচালক (সার) বলেছেন, পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। তবে ডিলাররা বলছেন, তাঁরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। ফলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকরাও চাহিদা অনুযায়ী তা পাচ্ছেন না। ওদিকে পাবনার ভাঙ্গুড়ায়ও ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন।
আবার ডিলারদের অতিমুনাফার অভিযোগও আছে। এ মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, জয়পুরহাটে সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ চাষিদের। কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্যে তো পাওয়াই যায় না, টাকা বেশি দিয়েও চাহিদামতো ইউরিয়া সার মিলছে না। বাজারে সারের সংকট দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
কৃষিপণ্য উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। উদ্বৃত্ত খাদ্যপণ্য উৎপাদনের পেছনে কৃষকের নিরলস পরিশ্রমের পাশাপাশি রয়েছে সরকারের চেষ্টা। কৃষি উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।