অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন, পাঁচটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ঘুরেও তিনি টাকা তুলতে পারেননি। কোনো বুথে টাকা নেই, আবার কোনো বুথে অন্য ব্যাংকের এটিএম কার্ড গ্রহণ করে না।
জানা গেছে, টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার মতিঝিলের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, দিলকুশার উত্তরা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ দেখা গেছে।
টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স লিমিটেডের মতিঝিল অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছি আমরা। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী এটিএম বুথগুলোতে টাকা সরবরাহ করতে পারছি না।চারটি ব্যাংকের এটিএম বুথে আমরা প্রতিদিন প্রায় ৩০ কোটি টাকা সরবরাহ করি। কিন্তু আজ (বৃহস্পতিবার) মাত্র ১০ কোটি টাকা দিতে পেরেছি। ’ এমন অবস্থা সারা দেশেই। যোগাযোগব্যবস্থা ও ডাকাতির ভয়ে শুধু সিকিউরেক্স নয়, টাকা সরবরাহকারী সব প্রতিষ্ঠানই নানাবিধ সমস্যার মধ্যে রয়েছে।ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের কারণে মানুষ এখন যেমন ঘরে নগদ টাকা কম রাখে, তেমনি চেক নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতেও অভ্যস্ত নয়। ব্যাংকের বেশির ভাগ গ্রাহকই এখন এটিএম কার্ড ব্যবহার করে। এটি তাদের কাছে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যের।এই অবস্থায় এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে না পারায় গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তা ছাড়া বৃহস্পতিবার চেক দিয়েও এক লাখের বেশি টাকা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছিল। এতেও ব্যবসা-বাণিজ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজকর্মে অনেক অসুবিধা হয়েছে।
আমরা আশা করি, দ্রুত ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা হবে।