English

23 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন: দ্রুত কমছে কৃষিজমি

- Advertisements -
Advertisements
Advertisements

দ্রুত কমছে কৃষিজমি। জনসংখ্যার বর্ধিত যোগাযোগ চাহিদা মেটাতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ। অর্থনীতির অনিবার্য প্রয়োজনেই স্থাপিত হচ্ছে কলকারখানা। বর্ধিত জনসংখ্যার আবাসন চাহিদা মেটাতে গিয়েও দ্রুত কমছে কৃষিজমি।

অথচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনসংখ্যা। ভবিষ্যতে এই বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যোৎপাদন হবে কিভাবে, তা নিয়েই ক্রমে সংশয় তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি শুমারি-২০১৯-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, গড়ে প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে ৩৭ হাজার ৮১৮ একর। আর ১১ বছরে আবাদি জমি কমেছে চার লাখ ১৬ হাজার একর।
জাতীয় কৃষি নীতি ১৯৯৯-এ অকৃষি খাতে কৃষিজমির ব্যবহারকে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। এতে কৃষিজমি রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে। এ ছাড়া কৃষিজমি সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু আইন রয়েছে। তা সত্ত্বেও জাতীয় সংসদে ‘কৃষিজমি (যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণ) বিল-২০২২’ নামে একটি বেসরকারি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিলে বলা যায়, বর্তমান সরকার এই সমস্যাটি নিয়ে সজাগ এবং কৃষিজমি রক্ষায় আন্তরিক। বাস্তবতা হচ্ছে, এর পরও ক্রমবর্ধমান হারে কমছে কৃষিজমি, বিবিএসের প্রতিবেদনই তার প্রমাণ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সারা পৃথিবীতেই কৃষি উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশেরও দক্ষিণাঞ্চলে নোনা পানির আগ্রাসন বাড়ছে। ক্রমেই বেশি করে কৃষিজমি নোনা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভ দিয়ে নোনা পানির অনুপ্রবেশ ক্রমে মধ্যাঞ্চলে চলে এসেছে। অন্যদিকে বরেন্দ্র অঞ্চলসহ উত্তরের বড় অংশে ভূগর্ভের পানি ক্রমেই নিচে নামছে। মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরুর আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অকৃষি খাতে কৃষিজমির ব্যবহার বন্ধে আমাদের আরো কঠোর হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
শিল্প-কারখানা স্থাপনে আবাদি জমির ব্যবহার নিরুৎসাহ করতে হবে। সমতলে আবাসন বৃদ্ধির পরিবর্তে বহুতল আবাসনকে উৎসাহিত করতে হবে। ইটভাটার মতো কিছু শিল্প কর্মকাণ্ড রয়েছে, যেগুলো কৃষির ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সারা দেশে হাজার হাজার ইটভাটা রয়েছে। একেকটি ভাটা কয়েক একর করে ফসলি জমি গ্রাস করছে। শুধু তা-ই নয়, ইট বানানোর মাটি সংগ্রহ করতে গিয়ে জমির টপ সয়েল বা ওপরের উর্বর অংশটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষিজমির ফসল উৎপাদনক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এর মধ্যেও আশার দিক হলো, এই সময়ে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ এগিয়েছে।
একরপ্রতি উৎপাদন বেড়েছে। হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু পালন, দুগ্ধ উৎপাদন, মৎস্য চাষসহ সহযোগী কৃষিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে এসেছে।

আমরা মনে করি, কৃষিজমি রক্ষায় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন