২০১২ সালে পুরোপুরিভাবে ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে দক্ষ মিডওয়াইফের ভূমিকা অনেক। মাতৃমৃৃৃৃৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধে তাঁদের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো। তাই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মিডওয়াইফদের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এক সমীক্ষার ফল বলছে, এখনো এক-চতুর্থাংশ শিশুর জন্ম হয় অদক্ষ ধাত্রীর হাতে। এসব ধাত্রীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায় প্রসবকালে রক্তক্ষরণ ও খিঁচুনিতে প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে।
নিরাপদ মাতৃত্ব একজন মায়ের অধিকার। এ অধিকার রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনগুলো। বাংলাদেশ জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশলের লক্ষ্যমাত্রা হলো, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭.১ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা।
নব্বইয়ের দশকের তুলনায় মাতৃমৃত্যু ৭০ শতাংশ কমলেও এখনো প্রতিবছর চার হাজার ৭২০ জন গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার লাখে ৭০ জনে নামিয়ে আনা সরকারের লক্ষ্য।
শিশু ও মাতৃমত্যু হার হ্রাস করতে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ মিডওয়াইফ বা ধাত্রী তৈরি করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অধিকসংখ্যক মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দিতে হবে।