’ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ভবনের স্লোপ, মূল বিমের লিনটেল ও ক্যাটল শেডে ফাটল ধরেছে। এ ছাড়া কিল্লার চতুর্দিকের সিসি ব্লকও দেবে গেছে। এই ভবনের কাজ যে মানসম্মত হয়নি স্বাভাবিকভাবেই সেটি ধরে নেওয়া যায়। এই ভবন কি দীর্ঘস্থায়ী হবে? তাহলে এত বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ের সার্থকতা কোথায়?
নিকট-অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় মানুষ ঘরবাড়ি, গবাদি পশু ফেলে দূরের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। সেই প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় রেখেই উপকূলীয় এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যেখানে মানুষের পাশাপাশি জরুরি মালপত্র ও গবাদি পশু রাখা যাবে। কিন্তু রাষ্ট্রের এমন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ মার খাচ্ছে অল্প কিছু মানুষের অতি লোভের কারণে।
যে ঠিকাদার তালতলীর মুজিব কিল্লা নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন এবং যেসব কর্মকর্তা কিল্লা নির্মাণের তদারকিতে ছিলেন তাঁদের সবার জবাবদিহি প্রয়োজন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আমরা চাই, যথাযথ কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এই ভবন কিভাবে ঠিক করা যাবে তা নির্ধারণ করা হোক এবং সে অনুযায়ী এর সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ সম্পন্ন করা হোক।