English

18 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
- Advertisement -

সংকট দূর করুন: শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে ঘাটতি

- Advertisements -
দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন পর্যন্ত শিক্ষককেন্দ্রিক বলা চলে। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক হবে, কিন্তু তাতে শিক্ষকের ভূমিকাও বাড়বে। এই বাস্তবতায় গতকাল পালিত হয়েছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, আমরা যে শিক্ষা গ্রহণ করতে চাই তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষক : শিক্ষকের স্বল্পতা কাটানো বৈশ্বিক দাবি।
বাংলাদেশের বাস্তবতা কী বলছে?
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নিয়োগে ধীরগতির কারণে দেশের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক দিন ধরে শিক্ষকসংকট চলছে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় কাঙ্ক্ষিত মানের পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। ৩৮ হাজার শূন্যপদ নিয়ে চলছে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরমাউশির অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পদ শূন্য।
আবার গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৭০ শতাংশ শিক্ষকের পদ ফাঁকা। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ২৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫৬টির প্রধান শিক্ষকের পদ পাঁচ বছর ধরে শূন্য রয়েছে। এতে একদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে, অন্যদিকে বিদ্যালয়ের একই পদের সহকারী শিক্ষকরা দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় নেতৃত্ব নিয়েও চলছে জটিলতা।
বলা হয়ে থাকে, সমাজের মধ্যে নৈতিক বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে সম্মানিত এবং শিক্ষকতার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা আর একটিও নেই। শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয় তাহলে শিক্ষকরা সেই মেরুদণ্ড তৈরি করে দেন। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা হিসেবে স্বীকৃত, একই সঙ্গে এই সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। শিক্ষা নিশ্চিত করতে দক্ষ ও মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন। একজন শিক্ষককে মানসম্পন্ন ও দক্ষতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন উপযুক্ত প্রশিক্ষণ।
নিয়মিত প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষক নিজেকে যেমন সমৃদ্ধ করতে পারেন, তেমনি শিক্ষার্থীদের পরিবর্তিত শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে আমরা কতটা অগ্রসর হতে পেরেছি?
মাউশির অধীন সারা দেশে নিবন্ধিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩ হাজার ৪৩৬। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক আছেন চার লাখ ৪১ হাজার ছয়জন। নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর এক দিনের অনলাইন ও তিন দিনের সরাসরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই স্তরে আরো ২৮ হাজার ১৯৩টি কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত আছেন দুই লাখ ৪৬৭ জন শিক্ষক। এই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি ও বেসরকারি মোট এক লাখ ১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখন কর্মরত ছয় লাখ ৫২ হাজার শিক্ষক। এর মধ্যে তিন লাখ ৯০ হাজার ৪৫ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই লাখ শিক্ষক এই প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত।

শিক্ষকদের খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ দিয়ে কি কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব হবে? বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ যখন নতুন শিক্ষাক্রম চালু হতে যাচ্ছে, তখন এটা আমাদের জন্য একটা বড় সংকট। এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক প্রশিক্ষণেও দৃষ্টি দিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন