English

25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

শক্তিশালী স্থানীয় সরকার: সুষম উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য

- Advertisements -

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি হলো শক্তিশালী স্থানীয় সরকার। দেশের প্রকৃত ও সুষম উন্নয়ন অনেকাংশেই নির্ভর করে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের ওপর। প্রধানমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকারের দাবি সব সময়ই পরস্পরকে গতিময় করেছে। জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে সংবিধানের আলোকে সব অঞ্চলে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। সেই লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রামের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, গ্রামই হলো সব উন্নয়নের মূল কেন্দ্র। গ্রামের উন্নয়ন যত বেগবান হবে, দেশ তত এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শন বাস্তবায়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রামে আধুনিক নাগরিক সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে মানসম্মত আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে শতভাগ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যান্ত্রিক যানবাহন পৌঁছে গেছে। আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চল প্রায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবাসহ কম্পিউটার প্রযুক্তি সহজলভ্য করা হচ্ছে। মানসম্মত ভোগ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামাঞ্চলে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই স্থানীয় সরকারগুলোকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের ক্ষমতায়নের অংশ হিসেবে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদসহ পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে শক্তিশালী করেছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা উন্নত ও প্রসারিত করতে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন স্থানীয় সরকারের পাঁচটি স্তরকে (ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন) আরো শক্তিশালী ও স্বাবলম্বী করে অধিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিবিড় ভূমিকা পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনগুলো যুগোপযোগী করে সংশোধনের প্রস্তাব প্রণয়ন করেছে।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে জন-অংশগ্রহণ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য ১৮টি উপজেলা ও ২৫১টি ইউনিয়ন পরিষদে কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে গ্রামকে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। আর সে জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার কাঠামো, যেখানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে গ্রামোন্নয়নের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হবে।

মানবসম্পদের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত করতে হবে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে সুষম উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন