English

25 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করুন: দেশে মাদকসেবী প্রায় দেড় কোটি

- Advertisements -
মাদক হচ্ছে সর্বনাশের আরেক নাম। শুধু ব্যক্তি নয়, অনেক জাতিও মাদকের কারণে ধ্বংস হয়ে যায়। সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কারণে প্রতিটি দেশ মাদক নিয়ন্ত্রণে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে থাকে। বাংলাদেশেরও মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি রয়েছে।
অতীতে অনেকবার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বা যুদ্ধ ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছুই হচ্ছে না। মাদকের বিস্তার রোধ করা যাচ্ছে না। প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকসেবীর সংখ্যা।
বেসরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধের (মানস) হিসাব মতে, দেশে বর্তমানে মাদকসেবীর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। সেই হিসাবে দেশের প্রায় ১৭ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে গড়ে প্রতি ১২ জনে (১১.৬৭) একজন মাদকসেবী। শতকরা হিসাবে মোট জনংসংখ্যার ৮.৭৫ শতাংশ মাদকসেবী।
মাদকের বিস্তার নিয়ে প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে খবর থাকছে।
বিশিষ্টজনদের মতামত, আলোচনা ও পরামর্শ থাকছে। কিন্তু কিছুতেই মাদকের বিষাক্ত ছোবল থামানো যাচ্ছে না। মাদক শুধু মাদকেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। মাদককে মনে করা হয় সব অপরাধের সূতিকাগার। প্রকৃত অর্থেই তা-ই হচ্ছে।
মাদকের বিস্তৃতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অন্যান্য অপরাধও। মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে বাড়ছে খুনাখুনি।
মাদকের অর্থ সংগ্রহের জন্য কিশোর-তরুণরা চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। খুন, ধর্ষণ, পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে আরো অনেক সামাজিক অশান্তির কারণও এই মাদকাসক্তি। আবার সুযোগসন্ধানীরা সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে মাদকাসক্তদের দিয়ে নানা অপরাধ করিয়ে নিচ্ছে।

এখন শুধু শহরে নয়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও মাদকাসক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভয়ংকর প্রবণতা অবিলম্বে রোধ করা না গেলে দেশের তরুণসমাজ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আরো আশঙ্কার বিষয়, মাদকসেবীদের একটি বড় অংশ কিশোর ও নারী। গবেষণায় উঠে এসেছে, দিন দিন নারীদের মধ্যে মাদক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক বিস্তারের প্রধান কারণ মাদকদ্রব্যের সহজপ্রাপ্যতা। প্রত্যন্ত গ্রামের কিশোরটিও এখন হাত বাড়ালেই মাদক পেয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে নানা পথে নানা কৌশলে ঢুকছে নানা ধরনের মাদ্রকদ্রব্য। যাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করার কথা তারাও নানাভাবে জড়িয়ে পড়ছে মাদক কারবারের সঙ্গে। গণমাধ্যমে দেখা যায়, অনেক স্থানে মাদকের হাট বসে।

নিয়ন্ত্রকরা সেখান থেকে বখরা নেয়। তা ছাড়া বর্তমানে আর আগের মতো সরাসরি মাদক ক্রয় করতে হয় না। অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাপস ও ডেলিভারিতে মাদক সংগ্রহ করা যাচ্ছে। মাদকের হোম ডেলিভারিও ক্রমে বাড়ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের প্রতিটি জেলা, থানা এমনকি গ্রামে পর্যন্ত মাদক ছড়িয়ে পড়েছে।

এই অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি। তরুণ-যুবাসহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে মাদকের বিস্তার রোধ করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন