ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। খেলাপি ঋণের পরিবর্তিত নীতিমালা সেই নেতিবাচক প্রভাবকে আরো বেগবান করছে। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে ঋণখেলাপি হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন।
গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের ঘটনা ঘটেছে।
রপ্তানি আয় কমছে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান থমকে আছে। এমন পরিস্থিতি দেশের অর্থনীতির জন্য মোটেও সুখকর নয়। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যখন ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যায়, তখন সব হিসাব ওলটপালট হয়ে যায়।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে অনেক উদ্যোক্তাও নানা ধরনের ভয়ভীতির মধ্যে রয়েছেন। স্বচ্ছন্দে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণে আগামী মার্চের মধ্যে সব ধরনের ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা কঠোর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এত দিন ছয়টি কিস্তি না দিলে একজন গ্রাহক খেলাপি হতেন। সেপ্টেম্বর থেকে তা তিন কিস্তিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। আগামী মার্চ থেকে একটি কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলেই খেলাপি করা হবে। এসব কারণে দেশে খেলাপি ঋণ অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আমরা চাই, দেশে ব্যবসা ও শিল্প বান্ধব পরিবেশ তৈরি হোক। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক। এ জন্য ব্যবসায়ীদের আস্থায় নিতে হবে।