English

24 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
- Advertisement -

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: মেধাবীরা যেন বাদ না পড়ে

- Advertisements -

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই করা হবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ঠিক করা হবে। গত শনিবার উপাচার্য পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের পর জিপিএর ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির একটা দাবি উঠেছিল। সভায় সেটি নাকচ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন বেশির ভাগ উপাচার্য। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে কাজও শুরু হয়েছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মত দিয়েছেন বেশির ভাগ উপাচার্য।
উপাচার্য পরিষদের সভাপতি জানিয়েছেন, ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের পর ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি ও সময় ঠিক করা হবে। সভায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উদ্ভাবিত একটি সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রস্তাব ওঠে। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাকি থাকা পরীক্ষা এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়। সেখানে সফলতা পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় এটি ব্যবহার করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে অনলাইনে পরীক্ষা হতে পারে। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে। বেশির ভাগ উপাচার্য সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে একমত। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের একটি গুচ্ছের জন্য একটি পরীক্ষা দিলেই চলবে।
শিক্ষার্থীদের দুর্দশা কমাতে অনেক দিন ধরেই সমন্বিত বা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। গতবার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইউজিসি। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি।
ভর্তি পরীক্ষা এবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবার সব পরীক্ষার্থী বিশেষ কারণবশত উত্তীর্ণ গণ্য হচ্ছে। কারণটি হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। তাই ভর্তি পরীক্ষা যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্যবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে বিবেচিত হতো। এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় এ বিষয়টি বিবেচনার বাইরে রাখার দাবি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে, বিশেষ করে অভিভাবক মহল থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাদ রাখবে বলেছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। সব বিশ্ববিদ্যালয় যদি তা করে, তাহলে শিক্ষার্থীদের মঙ্গল হয়। তারা ভর্তি পরীক্ষা প্রতিযোগী মানসিকতায় দিতে পারবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন