প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি হয়েছে এবং সেগুলো দ্রুতই বাজারে আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে গত শনিবার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামের একটি তুলনামূলক মূল্যতালিকা দেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, গত বছরের রমজান মাসের তুলনায় এবার আটা, ময়দা, চিনি, আলু, টমেটো, আদা ও পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে গত রমজানের তুলনায় এবার ভোজ্যতেলের দাম ১১ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘গত রমজানের চেয়ে এবার বেশির ভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে এসেছে, কমেছে। দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পুরো রমজানে অন্তর্বর্তী সরকারের নজর থাকবে।’
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, অন্যান্য সবজির দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকলেও রমজানে বেশি প্রয়োজনীয় কিছু সবজির দাম বেড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ আগেও যে লেবুর হালি ছিল ২০ থেকে ৪০ টাকা ছিল, প্রথম রোজায় তার দাম দাঁড়ায় মানভেদে ৬০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। উন্নতজাতের লেবুর দাম ছিল আরো কিছুটা বেশি।হাইব্রিড শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, দেশি শসার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা এবং খিরার কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেগুনের কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছ, মাংস ও মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে।
প্রকাশিত অপর একটি খবরে দেখা যায়, রমজান উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্যের বেশির ভাগ দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমাণ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের এখানে রমজানে বেশি প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়ে যায়—এটাই বরাবরের চিত্র। কিছু ব্যবসায়ীর অনৈতিক লাভের প্রবণতা রোধে সরকারকে আরো তৎপর হতে হবে। নজরদারি ও বাজারে হস্তক্ষেপ বাড়াতে হবে।