English

22 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন: পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

- Advertisements -
প্রতিবছর বর্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের অনেক ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহেও কক্সবাজারে পাহাড়ধসের দুটি ঘটনা ঘটেছে। এর আগে সিলেটে টিলাধসের দুটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অনেক প্রাণহানিও হয়েছে।
তবু থেমে নেই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ৫৫৮। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্য মতে, সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ১৬টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ছয় হাজার ১৭৫ আর ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩৮৩। এর মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার গত বৃহস্পতিবার তাদের সরানোর জন্য পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে বড় দুটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ ও ২০১৭ সালে। ২০০৭ সালে পাহাড়ধসে মারা গিয়েছিল ১২৭ জন। আর ২০১৭ সালের ঘটনায় চার সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬৮ জনের অকালমৃত্যু হয়।

এ ছাড়া পাহাড়ধসের অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং প্রায় প্রতিবছরই পাহাড়ধসের এক বা একাধিক ঘটনা ঘটে। কিন্তু এত বছরেও পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস আমরা বন্ধ করতে পারিনি। এ পর্যন্ত অনেক তদন্ত ও কারিগরি কমিটি হয়েছে। তারা পাহাড়ধস রোধ ও দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক সুপারিশ করেছে। কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আমাদের অগ্রগতি নেই বললেই চলে।

এ কারণে বর্ষা এলে মাইকিং করে এবং কিছু নির্দেশ দিয়েই আমাদের দায়িত্ব সারতে হয়।

অবৈধ বসবাসকারীদের বেশির ভাগেরই বসবাস সরকারি মালিকানাধীন পাহাড়গুলোতে। কারণ এই পাহাড়গুলোর ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি রয়েছে। জানা যায়এক শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় কিছু প্রভাবশালী লোক পাহাড়ে কিংবা পাহাড়ের নিচে খুপরি ঘর তৈরি করে ভাড়া দেয়। ভাড়া কম হওয়ায় দরিদ্র লোকজন সেখানে গিয়ে ভিড় জমায়। বড় বৃষ্টিপাতের আগে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের সরে যেতে বলে। কিন্তু হঠাৎ করে যাবে কোথায়? ফলে অনেকের পক্ষে সেখান থেকে সরে যাওয়া সম্ভব হয় না। অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়, কিন্তু ঘরের জিনিসপত্র ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়াও সম্ভব হয় না। তাদেরই ভাগ্যে নেমে আসে এমন মর্মান্তিক পরিণতি। অথচ আমাদের প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অবৈধ প্রক্রিয়া এখনো বন্ধ করতে পারেনি। পারেনি বলেই ছয় হাজারের বেশি পরিবার এখনো সেখানে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। বিভিন্ন কমিটির অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে, পাহাড়ধসে করুণ মৃত্যুর জন্য এই অবৈধ বসতি স্থাপনই মূলত দায়ী।

আমরা চাই, পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হোক। বিভিন্ন কমিটির সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হোক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন