দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) প্রায় ২৬ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে প্রতিদিন আসছে প্রায় ৮৬১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সদ্যোবিদায়ি ডিসেম্বর মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২.৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।
বিদেশ থেকে দেশে অর্থ প্রেরণের দুটি পথ খোলা আছে, যার মধ্যে একটি বৈধ অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে এবং আরেকটি হচ্ছে অবৈধ অর্থাৎ হুন্ডির মাধ্যমে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ প্রেরণ আরো সহজ, দ্রুত ও আকর্ষণীয় করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স প্রেরকদের অবদান বিবেচনায় নিয়ে তাঁদের নানাভাবে সম্মানিত করা যায়। নানা রকম রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়। এ রকম আরো কিছু পদক্ষেপ নিলে প্রবাসী কর্মীরা হুন্ডির বদলে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠাতে আরো বেশি উৎসাহিত হবেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি গত প্রায় সাড়ে পাঁচ দশকে যখনই উঠে দাঁড়াতে চেয়েছে তখনই নানাভাবে ধাক্কা খেয়েছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান খাত প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স। আগস্ট মাস থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করায় প্রবাস আয় বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করতে হুন্ডি প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার খরচ কমাতে হবে। রেমিট্যান্সের প্রণোদনার ব্যবস্থাটি চলমান রাখতে হবে।