পাহাড়ের প্রতিটি ঘটনার একটি রাজনৈতিক মাত্রা আছে। পাহাড়ি এলাকায় মাঝেমধ্যেই হত্যা-অপহরণের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এসব ঘটনা যারাই ঘটিয়ে থাকুক না কেন, এর নেপথ্যে যে পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির অপকৌশল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজাতীয় ঘটনা একেবারেই মঙ্গলজনক নয়।
পাহাড়ে প্রতিটি ঘটনার একটি রাজনৈতিক মাত্রা আছে। যারাই ঘটিয়ে থাকুক, তাতে পাহাড়ে আরেক দফা রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। সেটা কিছুতেই মঙ্গলজনক হওয়ার কথা নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা যেমন নিছক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দুটি দলের অন্তঃকোন্দল। তেমনি নিজেদের ভেতর আধিপত্য বিস্তারের বিষয়টিও বড় একটি কারণ। এর সঙ্গে রয়েছে চাঁদাবাজির বিষয়টিও। আর পুরো বিষয়ের ভেতর দিয়ে সরকারের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির উদ্যোগকে অকার্যকর বা বাধাগ্রস্ত করার অপকৌশলও আছে। কারণ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়িত হলে অনৈতিক আধিপত্য, চাঁদাবাজি, জমি নিয়ে অবৈধ বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলো খর্ব হবে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সক্রিয় দলগুলো একে অন্যের বিরুদ্ধে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে পুরো পাহাড়ি অঞ্চলে।
বান্দরবান জেলা তিন দেশের সীমান্তব্যবস্থার অংশ। এই ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকায় তিন দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী দলগুলোর আনাগোনা। কাজেই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে পাহাড়ের শান্তি।