হয়তো ৭ সেপ্টেম্বর রাতেও সে ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল শিক্ষার্থীদের। রাতের বেলা হেলে পড়া ডাল নজরে আসেনি কারো। ফলে ঘটে গেছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরের মধ্যে চলাচলকারী শাটল ট্রেনের বগির সংখ্যা নিয়ে বরাবরই শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শহর থেকে যাতায়াত করে। ফলে অনেককেই এই শাটল ট্রেনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ট্রেনের জন্য ব্যয় হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পরিবহন খাতে মোট ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।এর মধ্যে বছরে পরিবহন খাতে মোট ব্যয়ের ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচ হয় দুই হাজার ৭৭৮ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য।এই শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরিবহন বাবদ বছরে মাথাপিছু ব্যয় ৪৮ হাজার ৭২৪ টাকা, যা মোট পরিবহন ব্যয়ের প্রায় সাড়ে ৯২ শতাংশ। আর ২৬ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাথাপিছু পরিবহন বাবদ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ মাত্র ৪১৪ টাকা ৯৩ পয়সা।বছরে পরিবহন খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে খরচ তার মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ খরচ হয় শিক্ষার্থীদের জন্য। অথচ শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর পরিবহন ব্যয় বাবদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করে ৫৭৯ টাকা।এ বৈষম্য কেন হবে? শিক্ষার্থীরা যাতে ছাদে না ওঠে, সে জন্য রেলের বগি বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। কিন্তু যে ঘটনা ঘটে গেছে, তার দায় কে নেবে? অনতিবিলম্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত ও বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।