English

17 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করুন: জনভোগান্তির কারণ তিন সেতু

- Advertisements -
জনগণের প্রয়োজন বিবেচনা করেই অবকাঠামো খাতে একেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও তদারকির অভাব এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রায়ই এসব প্রকল্প জনগণের উপকারে না এসে বরং দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগের কারণ হয়। পত্রপত্রিকায় প্রায়ই এ ধরনের খবরাখবর দেখা যায়।প্রকাশিত খবরেও দেখা যায়, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণে নির্মীয়মাণ তিনটি সেতুর কাজ দুই বছর ধরে স্থবির হয়ে পড়ে আছে।
সেতু তিনটি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরপথে চলাচল করতে হচ্ছে। শুধু এই তিনটি সেতুই নয়, এই উপজেলায় আরো চারটি সেতু রয়েছে, যেগুলোর অ্যাপ্রচ রোড নির্মাণ করা হয়নি।
ফলে মানুষ এসব সেতুর সুবিধা ভোগ করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার বাইশকুড়া বাজার সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭ মিটার দীর্ঘ একটি পাকা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় তিন বছর আগে। এলাকার অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ এই পথে চলাচল করে। কাজের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হলেও এখনো কয়েকটি পিলার ছাড়া সেতুর কোনো অবয়বই দৃশ্যমান হয়নি। ফলে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও কয়েকটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষকে পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে উপজেলার সূর্যমণি বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ওপর নির্মীয়মাণ লোহার সেতু এবং মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের মোল্লারহাট সেতুটির নির্মাণকাজও এক বছর ধরে স্থবির অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলার রাজারহাট সেতু, পৌর শহরের সাপলেজা সড়কের থানাপাড়া সেতু, বিশ্বাসবাড়ি সেতু, মাছুয়া সড়কের মাতবরবাড়ি সেতুর অ্যাপ্রচ রোড নির্মাণ না করায় ভোগান্তিতে রয়েছে স্থানীয় লোকজন। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে থাকা শতাধিক লোহার সেতুও সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, বর্তমানে তিনি আর্থিক সংকটে আছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুগুলোর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুধু পিরোজপুরে মঠবাড়িয়াতেই নয়, সারা দেশেই এমন অসংখ্য সেতু অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিলম্বের কারণে জনভোগান্তির পাশাপাশি নির্মাণকাজের মান নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই।

আমরা আশা করি, মঠবাড়িয়ার তিনটি সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে জনভোগান্তি কমানো হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন