এই ক্ষতি রোধ করতে দেশে নানা ধরনের আইন রয়েছে, কিন্তু সেসব আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে।
সবজি ও ফলমূলে অতিমাত্রায় ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক নিয়ে নিকট অতীতে অনেক গবেষণা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে অনেক তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু সেসব প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, দেশের ছয় জেলায় পরিচালিত গবেষণায় ৯টি সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া গেছে। সবজিগুলো হলো আলু, বেগুন, ঢেঁড়স, টমেটো, লালশাক, শিম, শসা, পটোল ও বাঁধাকপি। আর জেলাগুলো হলো ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও জামালপুর। এসব রাসায়নিকের মধ্যে ক্যাডমিয়াম, লেড, ক্রোমিয়ামসহ বেশ কয়েকটি ভারী ধাতু রয়েছে, যা শরীরে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সোমবার রাজধানীর শাহবাগে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) আয়োজিত গবেষণার ফলাফল অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
একই সেমিনারে দেশের আম, লিচু, পেয়ারা ও বরইয়ে কত শতাংশ কীটনাশক রয়েছে, তা নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে ৩২০টি নমুনা পরীক্ষা করে গড়ে ১০ শতাংশের মধ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় কীটনাশক পাওয়া গেছে। ফলাফলে জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে লালশাকে।
মানব শরীরে ক্যাডমিয়ামের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৯০ মাইক্রোগ্রাম, লালশাকে পাওয়া গেছে ৭০৪.৩২ মাইক্রোগ্রাম। অন্যগুলোতেও ক্যাডমিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অনেক কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা রয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ প্রায় কিছুই হচ্ছে না। অবস্থা এমন হয়েছে যে ভেজাল খাদ্য খেয়ে অসুস্থ হলে সুস্থ হওয়ার জন্য যে ওষুধ খাওয়া হবে তাতেও ভেজাল পাওয়া যায়। আমরা মনে করি, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় রাষ্ট্রকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।