কিন্তু একই সঙ্গে মিটফোর্ডে অভিযান পরিচালনাও প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। নকল কারখানায় ওষুধ তৈরি করা হলেও দেশব্যাপী তাঁরা সেসব ওষুধ বিক্রি করতে সক্ষম নন। এ জন্য তাঁদের প্রয়োজন হয় ওষুধ বিক্রেতাদের। কিন্তু ওষুধের দোকানে অভিযান চালানো না হলে নকল ওষুধের বিক্রি কিভাবে ঠেকানো যাবে?দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে নকল-ভেজাল ওষুধের কারবার। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইটের গুঁড়ার সঙ্গে নানা ধরনের রং ও কেমিক্যাল মিশিয়েও ওষুধ বানানো হয়। গ্রামে-গঞ্জে এ ধরনের ওষুধই নাকি বেশি বিক্রি হয়। কারণ নকল ওষুধ বিক্রিতে লাভ বেশি।শুধু মুখে খাওয়ার ওষুইধ নয়, ইনহেলার, অয়েন্টমেন্ট বা ইনজেকশনের মতো ওষুধও নকল হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের যে ধরনের ভূমিকা থাকা উচিত ছিল, তা নেই বললেই চলে। আমরা আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেবে। নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে হবে। নকল ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।