প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বস্বান্ত করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এখনকার বাজারকে স্থিতিশীল রেখে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ, শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় এক দিনে নামিয়ে আনা।
সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা দরকার। এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রডাক্ট বাজারে আনতে হবে। দেশি ভালো প্রাইভেট কম্পানির পাশাপাশি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির শেয়ার বাজারে আনা দরকার। বন্ড মার্কেট শক্তিশালী করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার। বিএসইসি এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজারকে এগিয়ে নিতে হলে লিস্টেড কম্পানিগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা বিশেষ জরুরি। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজারকে স্থিতিশীল রেখে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠা। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, পুঁজিবাজারে কারসাজি ও অনিয়মের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।