English

22 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
- Advertisement -

ধারা অব্যাহত থাক: পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

- Advertisements -
দেশের পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগকারীরা স্থিতিশীল ও গতিশীল দেখতে চান। অর্থাৎ স্থিতিশীলতার পাশাপাশি গতিশীলতাও থাকবে পুঁজিবাজারে। কিন্তু বাস্তবে দেশের পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা নেই। বাজার গতি হারিয়েছে অনেক আগেই।
অনিবার্য ফল হচ্ছে আস্থার সংকট। বাজারকে স্থিতিশীল রেখে গতিশীল করা ও আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। সুখের কথা, গত মঙ্গলবার টানা চার কার্যদিবস সূচকের পতনের পর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরে আসে পুঁজিবাজার। সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
মঙ্গলবার ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে। বুধবার সকালেও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের  (বিএসইসি) চেয়ারম্যান গত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে তহবিল জোগানে সহায়তা।
আস্থার সংকট অনেক বিনিয়োগকারীকে পুঁজিবাজার থেকে দূরে রেখেছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন পর্যন্ত অতটা বিনিয়োগনির্ভর হতে পারেনি, যতটা তা ট্রেডিংনির্ভর। এর ওপর এই বাজারে রয়েছে জুয়াড়িদের প্রভাব। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি অংশকে প্রতিদিনের ব্যবসা করতে আসতে দেখা যায়।

 

প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে তাদের সর্বস্বান্ত করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এখনকার বাজারকে স্থিতিশীল রেখে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ, শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়  এক দিনে নামিয়ে আনা।

সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা দরকার। এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রডাক্ট বাজারে আনতে হবে। দেশি ভালো প্রাইভেট কম্পানির পাশাপাশি মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির শেয়ার বাজারে আনা দরকার। বন্ড মার্কেট শক্তিশালী করতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা দরকার। বিএসইসি এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজারকে এগিয়ে নিতে হলে লিস্টেড কম্পানিগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা বিশেষ জরুরি। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাজারকে স্থিতিশীল রেখে আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠা। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য, পুঁজিবাজারে কারসাজি ও অনিয়মের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।

 

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন