প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে ইউনিসেফের এক জরিপে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণায়ও এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় বলে খবরে প্রকাশ।
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নানা কারণে এখনো দারিদ্র্যঝুঁকিতে রয়ে গেছে। যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে, সেই জনগোষ্ঠী ছাড়াও দারিদ্র্যসীমার কিছুটা ওপরে অবস্থানকারীরাও বিবিধ কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
দরিদ্র ও প্রায় দরিদ্র মানুষের পক্ষে অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও বিপর্যয় মোকাবেলা করা সম্ভব হয় না।এসব ঝুঁকি মোকাবেলায় দরিদ্র ও ঝুঁকিপ্রবণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতেই সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি নেওয়া হয়।
এসব কর্মসূচির আওতা ও পরিধি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সত্যি, তবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো এসব কর্মসূচির আওতায় আসেনি, নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচিগুলো থেকে প্রাপ্ত গড় সুবিধার পরিমাণ খুবই কম। আবার সেই কর্মসূচি যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবে।
ভাতা না পাওয়ায় অনেক হতদরিদ্র পরিবার বিপাকে পড়েছে। সময়মতো ভাতা না পাওয়ায় ওই সংকট আরো বেড়েছে। ভাতাভোগীদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত দরিদ্রদের তালিকা চূড়ান্ত করে দ্রুত ভাতা দেওয়া শুরু করা হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।