কে জানে, এরপর চতুর্থ দফা বা পঞ্চম দফায় সময় বাড়ানো হলে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!
কোনো একটি প্রকল্প, বিশেষ করে রেলপথের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ হওয়ায় মাগুরা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ আরো বেশি স্বপ্ন দেখছিল যে অনেক কম সময়ে তারা ট্রেনে ঢাকায় যেতে পারবে।
তাদের সেই আশা আজ হতাশায় রূপ নিচ্ছে। তাদের সে হতাশা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের স্পর্শ করবে কি? কাজ না হওয়ার জন্য অনেক অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু সব সমস্যার সমাধান করে দ্রুতগতিতে কাজ সম্পাদন করার মধ্যেই তো প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দক্ষতার প্রমাণ।
অতীতে রেলপথ নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক রেলপথ বন্ধ করা হয়েছে। লাইন তুলে ফেলা হয়েছে। গত দেড় দশকে অবস্থার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। রেল পরিবহনে অনেক অগ্রগতি হয়েছে, কিন্তু মানসিকতার একটি অদৃশ্য বাধা সেই অগ্রগতিকে যেন পেছনে টানতে চাইছে। আমরা মনে করি, এই অদৃশ্য বাধা দূর করতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যাতে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।