English

36 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

দ্রুত অবসান প্রয়োজন: তৈরি পোশাকশিল্পে অস্থিরতা

- Advertisements -
রপ্তানি বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের প্রধান খাত তৈরি পোশাকশিল্পে দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা অসন্তোষ অনেকটাই কমে এসেছে। অস্থিরতা কমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পোশাকশিল্পের কার্যক্রম। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত শনিবার প্রায় ৯৮ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল। তবে ৩৬টি কারখানায় কর্মীরা এসে কাজ না করে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করলে এসব কারখানা বন্ধ রাখা হয়।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, ৮৮ শতাংশ বা এক হাজার ৮৯৪টি কারখানার শ্রমিকদের আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। সুতরাং বেতন-ভাতাসংক্রান্ত ইস্যু নেই। তার পরও কেন অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা? উদ্যোক্তাদের দাবি, দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে অস্থিরতার অপচেষ্টা করছে একটি গোষ্ঠী।
উদ্ভট সব দাবির আড়ালে শ্রমিকদের উসকে দিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

উদ্যোক্তাদের ধারণা হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে বহিরাগতদের ব্যবহার করা হয়েছে। সত্যি কি বাংলাদেশের এই খাতকে ধ্বংস করার জন্য কোনো অদৃশ্য শক্তি পেছনে লুকিয়ে আছে? তাহলে উভয় পক্ষেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। তৈরি পোশাক খাতে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে সরকার কমিটি করেছে।

এই কমিটির মাধ্যমে সবার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।’ উদ্যোক্তারা বলছেন, ‘দেশের অর্ডারগুলো প্রতিবেশী দেশগুলোতে চলে যাচ্ছে।
শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে পারছেন না। বহিরাগতরা কারখানাগুলোতে অশান্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের মধ্যে তেমন কোনো অসন্তোষ নেই।
কিছুদিন আগেই প্রায় অর্ধেক বেতন বাড়ানো হয়েছে। মালিকরা তা বাস্তবায়ন করছেন।
কারখানাগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে উদ্যোক্তাদের বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। অস্থিরতার কারণে বিদেশি বায়াররা আসছেন না।’ ব্যবসায়ী নেতারা মনে করছেন, পোশাক শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা চলছে তৃতীয়পক্ষের ইন্ধনে। শিল্প মালিকরা মনে করছেন, শিল্পকে অস্থিতিশীল করাসহ অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভ্রান্ত করতে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে নেপথ্যে থাকা একটি গোষ্ঠী। এতে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্প অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজস্ব একটি বাজার সৃষ্টি করতে পেরেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। বাংলাদেশের পোশাকের চাহিদার কারণে প্রতিবছর বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে।
পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা করতে হবে যে শ্রমিক ও মালিক উভয়েরই প্রতিষ্ঠান একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি। দুই পক্ষেরই রুজি-রোজগারের স্থান এটি। শিল্প যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার। বাংলাদেশের এই খাত ধ্বংস হয়ে গেলে মালিক-শ্রমিকসহ সারা দেশের অর্থনীতি ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন