কিন্তু বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন দুর্বল উদ্যোগে বাজার ভোক্তাদের নাগালে আসবে না।জানা যায়, এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এর পরও এভাবে দাম বাড়ছে কেন, তা সংশ্লিষ্টদেরও বোধগম্য নয়।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, হুট করেই চালের দাম ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের নানামুখী তৎপরতায় পাইকারি পর্যায়ে দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা কমলেও খুচরায় তার কোনো প্রভাবই পড়েনি।
অন্যদিকে পবিত্র রমজান মাস আসতে আর মাত্র মাস দেড়েক বাকি। এরই মধ্যে বাজারে ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ রমজানে চাহিদা বেশি এমন প্রতিটি পণ্যের দাম দফায় দফায় বেড়ে চলেছে।
জানা যায়, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি শুল্ক হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে।বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কি বাজার স্বাভাবিক হবে?
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের বাজার অস্থির হয় মূলত ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সিন্ডিকেট ও মজুদদারির কারণে। তাদের অতিমাত্রায় লোভের বলি হয় সাধারণ ভোক্তারা।
এর ভূরি ভূরি প্রমাণ অতীতে দেখা গেছে। ভারতে যেদিন ঘোষণা দেওয়া হয় যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হবে কিংবা দাম বাড়ানো হবে, সেদিনই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়।
কোনো কারণে পরিবহন বাধাগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম বেড়ে যায়। এখানে নীতি-নৈতিকতা কোনো কিছুই কাজ করে না।
গত বুধবার নওগাঁর মান্দায় অভিযান চালিয়ে দুটি গুদাম থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভোগ্যপণ্য পাওয়া গেছে, যেগুলো অবৈধভাবে মজুদ করা হয়েছিল। খোঁজ করলে সারা দেশে এ রকম বহু অবৈধ মজুদ পাওয়া যাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভিযান চালানোর প্রয়োজন আছে। একই সঙ্গে প্রয়োজন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও তা মেনে চলতে বাধ্য করা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা। সে জন্য সময়মতো আমদানির উদ্যোগ নেওয়া।